চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ ভোলার চরফ্যাসনে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডুবেগেছে কৃষকের ফসলী জমি, মাছ চাষীদের মাছের খামার, রাস্তা ও পুকুরের মাছ । বৃষ্টির সাথে নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে জোয়রের পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্ত্ ঘাট সহ ফসলের জমি ও মাছের খামার। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে চরফ্যাসনের নদীর পারের আনেক ঘর বাড়ি। পানি বন্ধি কয়েকটি পরিবারের ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের করোনাকালীন সময় আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো বর্তমানে কোনো মতে সংসার চলছে তারমধ্যে আবার বৃষ্টির পানি এবং জোয়ারের পানি যেন মরার উপরে খাড়ারর ঘাঁ,টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে তাদের চাষাবাদের জমি তার সাথে আবার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে গেছে মাছের খামার সহ অনেক ঘরবাড়ি। এতেকরে বিপদে পরেছেন গবাদী পশু নিয়েও মহিষ গরূ ছাগলের খাদ্য সংকটে পরেছেন তারা। কয়েকজন মৎস্য চাষী জানান।
বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে মাছের খামার মাঠ ঘাট ডুবে যাওয়ায় অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতির মুখে পরেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। ভুক্তভুগীরা জানান প্রতি বছর বর্ষার মৌসুম আসলে এমন ক্ষয়ক্ষতির মুখে পরতে হয় তাদের বৃষ্টির সাথে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেলে জোয়ারের পানিতে আবাদি জমি মাছের খামার পানিতে তলিয়ে যায়।
আহাম্মদপুর ইউনিয়নের কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান,আমার ১লক্ষ দিয়ে সবজির খামার এবং মাছের চাষ করেছি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে সবজির খামার ও পুকুরের মাছ। আমার ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান, জন বসতিপূর্ণ চরাঞ্চলে বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে এসব এলাকার সরকারী প্রকল্প ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দের সহযোগীতার ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ উপ সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, চরফ্যাশনের বেড়ীবাঁধে ব্লক ও জিও ব্যাগ কাজ চলমান আছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ীবাঁধ সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply